রুমের দরজায় টোকা মেড়ে বলছে --- মে আই কাম ইন স্যার।একটা মেয়েলি কন্ঠ,আমি বিছানা থেকে একটু উঠে বললাম, --- শিওর, আসুন।ভেতরে এক সুদর্শন রমনীর আগমন।আমি উঠে বসলাম।গায়ের টিশার্ট টা ঠিক করলাম।--- গুড মর্নিং মিঃ জামান--- গুড মর্নিং মিস...--- সোমা,--- জ্বী বলুন।--- জ্বী স্যার আমি হোটেলের ম্যানেজ মেন্টের দায়িত্বে আছি।আপনি আমাদের হোটেলে নতুন তাই খোজ নিতে এলাম।কোন সমস্যা আছে কি না।বলতে বলতে, স্যার বসতে পারি?--- হ্যা বসুন।--- তো স্যার অনেক বছর পরে দেশে এসেছেন? রুম বুকিং এর সময় আপনার বন্ধু বলেছিল।--- হ্যা তা প্রায় দশ বছর হবে।আমি খেয়াল করলাম মেয়েটার শরীর থেকে চড়া পারফিউমের গন্ধ আসছে।এমন ভাবে আট- শাট পোশাক পড়ে আছে যে শরীরের প্রতি টা পয়েন্টের আবেদন ঝুকে আসছে।।কথার ফাকে একটু ইশারা করে বল্লো আমাদের হোটেলে সব ব্যাবস্থা আছে, কোন কিছুর দরকার হলে বলুন, আমরা এ্যরেঞ্জ করব। ইংগিত পুর্ন কথায় আমার ভীষন হাসি পেলো।খুব গম্ভীর ভাবে মিসঃ সোমার দিকে তাকিয়ে আমি হাসি দিলাম।তারপর মৃদু হাসি দিয়ে বল্লাম --- থ্যাংকু, দরকার হলে জানাবো।তারপর মিসঃসোমা চলে গেলেন।বাংলাদেশে আসার পরে আমার ভীষন ক্লান্ত লাগছে।আসলে দেশের একটা টান ই আলাদা থাকে।মনে হচ্ছে কত দিন পর আমি ঘুমাচ্ছি।নাহ এখন আর ঘুম আসছে না।জানালার পাশের পর্দাটা সরিয়ে একটু বাইরে দেখার চেস্টা করলাম।সেই পথ..... এই পথে কেটে গেছে আমার কত শত ঘন্টা,কত পথ ক্লান্ত হয়ে ঘুড়েছে। পকেটে পাচ টাকার নোট নিয়ে হেটে হেটে মার্কেটিং এর কাজ করেছি একটা ফুড এন্ড বেভারিজ কোম্পানির।নস্টালজিয়ায় মন ভরে যাচ্ছিল, এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো।